প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এই পোষ্টে তুমি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনা সহ, এই দিবস নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্ব পাবে, যা তোমাকে এই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে একটা পরিপূর্ণ ধারণা দিবে। তাছাড়াও তুমি ইতিহাসের এই কলঙ্কদিনের প্রাণপ্রিয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর ছবি দেখতে পারবে, যা তোমাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনা লেখতে আরো বেশি সহযোগিতা করবে।
{getToc} $title={শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস}
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনা
এই রচনার কোনো ভূমিকা, উপসংহার দেয়ার দরকার নেই। কেননা এটার ইতিহাস ভিত্তিক আলোচনার এর কোনো ধারাবাহিকতা নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে রচনা
১৪ই ডিসেম্বর এই দিনটির কথা মনে হলে মনে পড়ে যায় আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কথা। মনে পড়ে যায় বাঙালী জাতীয় জীবনের একটি স্মরণীয় ও কলঙ্কের দিন। ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বর এ দিন গুলোতে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।আত্মসমর্পণের আগ মূহুর্তে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশ থেকে মেধা শূণ্য করার অপচেষ্টায় ১৪ই ডিসেম্বর দিনটিকে নীল নকশা হিসেবে পরিকল্পনা করে আর সেই দিন ঘর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়
মুনীব চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ হাজার ১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকায়। ১৪৯ জন। সূত্র: বাংলা পিডিয়া
বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’ (১৯৯৪) থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথাও একই গ্রন্থে স্বীকার করা হয়।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা না করে যদি জনসংখ্যা আর মৃত্যুর হার হিসেবে হিসাব করা হয় তাহলে অন্যান্য ঢাকার বাইরে জেলাগুলোতে আরো বেশি সংখ্যক বুদ্ধিজীবী মারা গেছেন।
পাকিস্তানি দুঃশাসনের দিনগুলোয় আমাদের বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। নিজেদের জ্ঞান-মনীষা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন, আলোকিত করেছেন। এসব কারণেই তাঁরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের জিঘাংসার শিকার হয়েছেন। এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধনের উদাহরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কখনো ঘটেনি এই বিশ্বে।
১৪ ডিসেম্বর এর মর্মান্তিক ঘটনাটি একটি চির স্মরণীয় দিন। যতদিন পৃথিবীর বুকে এই বাংলাদেশ ভূখণ্ডর অস্তিত টিকে থাকবে ততো দিন মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটা ঘটনা বাঙালীর জীবনে স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। তাই আসুন এই দিনটিকে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধার সতিহ পালন করি ও নিজেকে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি।
প্রশ্নোত্তর পর্ব
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে?
উত্তর: ১৪ ডিসেম্বর
শহীদ বুদ্ধিজীবী কারা?
উত্তর: যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কলমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়?
উত্তর: এরা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে বিধায় এদের হত্যা করা হয়, কিন্তু আমরা চাই তাদের চিরকাল স্মরণ করে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারি তাই তাদের দিবস পালন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী কতজন?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ হাজার ১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকায়। ১৪৯ জন। সূত্র: বাংলা পিডিয়া
বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’ (১৯৯৪) থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথাও একই গ্রন্থে স্বীকার করা হয়।
Tags:
রচনা