কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম জানার আগে জানব কৃতজ্ঞতা শব্দের অর্থ কি? কৃতজ্ঞতা কয় ধরনের হয়। এবং আমাদের কি কি বিষয় খেয়াল রেখে কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র লিখতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত-{getToc} $title={কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম}
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা |
কৃতজ্ঞতা শব্দের অর্থ
কৃতজ্ঞ শব্দ থেকে কৃতজ্ঞতা শব্দ টি এসেছে কৃতজ্ঞ শব্দ টি হল বিশেষণ আর কৃতজ্ঞতা শব্দটি বিশেষ্য। কৃতজ্ঞ এর মানে হল অন্যের উপকার মনে রাখে এবং এই উপকারের কথা মনে রাখে। অর্থাৎ ঋণী (চিরদিন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব)। কৃতজ্ঞতা মানে হল কৃতজ্ঞতা বোধ আছে এমন, তো সব মিলিয়ে দাড়ালো যে উপকারীর উপকার মনে রেখেছে বা রাখে এমন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম লেখার ক্ষেত্রে আমরা কিছু বিষয় বিষয় খেয়াল রাখব।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম
- কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্রটি যেন বেশি বড় যেন না হয় এমনকি বেশি ছোটও যেন না হয়, মোটকথা মধ্য অবস্থায় থাকতে হবে।
- ভাষাটা এমন সহজ ও প্রাঞ্জল হতে হবে যাতে করে যাকে বা যাদের লেখা হচ্ছে তারা যেন আপনার লেখার পড়া বা শোনার সাথে সাথে আপনাকে আরো কাছে মানুষ মনে করে অর্থাৎ সহজ কথায় প্রিয় বন্ধুর মতো ভালোবাসে।
- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সময় যেন আপনার মুখের বলি নয় সাথে শারীরিক বঃহির প্রকাশ ঘটাতে হবে। সত্যি বলতে কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা তখন যা বলে মন থেকে বলে।
- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বেশি প্রশংসা করব না। কেননা আপনি আজ যাকে প্রশংসা করছেন আজ নয় তো কাল হয়তো পরশু আপনার সাথে মতো বিরোধ হতে পারে। বর্তমান সময়ে মানুষ খুব হিংসা। উপকার করলেও তাদের হৃদয়ে এখন আর তেমন সহানুভুতি জন্ম নেয় না। আর এই সহানুভুতি জন্ম নেয়ার জন্য তাকে হালকা প্রশংসা করতে হবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার প্রকাশ করার মাধ্যমে।
ধর্মের ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা কেবল ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয় বরং স্রষ্টার সাথে নিবির সম্পর্ক। মুমিনরা সর্বদায় স্রষ্টার নিকট সর্বদায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। যেখানে তারা তাদের জীবনকে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার হিসেবে গ্রহণ করে আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম এর নমুনা
হায়, হ্যালো, ব্যক্তির নাম (এখানে ব্যক্তি বিশেষ সম্বোধন করতে হবে)
আসলে আমার এটা বলা উচিত নয় তবুও বলতে হয় যে, এই পৃথিবীতে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে যাদের কথা এখনো হৃদয়ে স্পর্শ করে মনকে শীতল করে দেয়। নদী যখন শুকিয়ে যায় তখন চিৎকার করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে পানি চায়, তখন তার চিৎকার শুনে তিনি বৃষ্টির মাধ্যমে নদীকে ভরিয়ে দেন। ঠিক তেমনি আমার কঠিন সময়ে যখন কিছু প্রয়োজন ছিল আমিও প্রভুর কাছে চিৎকার করে সাহায্য চাই আর তখনই আপনার মতো সহানুভুতিশীল ব্যক্তিকে স্রষ্টা আমার নিকট বৃষ্টির মতো পাঠান এবং আমাকে সাহায্য করেন।আর সৃষ্টি কর্তার ইশারায় আপনার সাহায্য পেয়ে সত্যিই নিজেকে খুব আনন্দিত ও গর্বিতবোধ করছি। আপনাকে আমার এই জীবনে পেয়ে সত্যিই আমি খুব খুশি।আপনাকে অবিরাম ভালোবাসা/শ্রদ্ধা দিলামক খ গ
পরিশেষে এইটুকু বলা যদি আপনি এর চেয়ে ভালো কিছু লিখতে পারে তাহলে আরো ভালো। তাছাড়া যদি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন পত্রটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।
Tags:
কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র